জিহাদ কোনো নব্য আবিষ্কৃত বিষয় নয় যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী মুসলমানরা এই নতুন পথ ও পন্থা আবিষ্কার করেছে। জিহাদ একটি সুপ্রাচীন বিষয়। রাসূল সা.-এর আগের নবী-রাসূলগণের সময়েও জিহাদের প্রচলন রয়েছে। দাউদ আ., সুলাইমান আ. এবং মূসা আ.-এর জীবনী পর্যালোচনা করলে ইসলামিক এবং অনৈসলামিক সকল সূত্রেই জিহাদ ও কিতালের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়। রাসূল সা.-এর পরবর্তী সময়ে সাহাবায়ে কেরাম ও সালাফদের যুগেও এর আবেদন বিন্দুমাত্র কমেনি। উলামায়ে আসলাফ এবং তাদের পরবর্তী প্রজন্মের মুসলিম-বিশ্ব ও ইমামগণ বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেছেন। মুহাদ্দিসগণ নিজ নিজ গ্রন্থে জিহাদ-বিষয়ক আলাদা অধ্যায় রচনা করেছেন। ফকীহগণ জিহাদ-সংক্রান্ত মাসআলায় হাজার হাজার পৃষ্ঠা লিখেছেন। ঐতিহাসিকগণ তাদের কালির আঁচড়ে সেই গৌরবগাথা মলাটবদ্ধ করেছেন।
আব্দুল্লাহ ইবনু মুবারক রহ. একজন কীর্তিমান সালাফ। কুরআন, হাদীস ও ফিকহসহ ইসলামের প্রায় সকল শাস্ত্রেই তিনি এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে জ্বলজ্বল করছেন। ইলমের এই বরপুত্র নিজেকে কিতাবের পৃষ্ঠাতলে বন্দী না রেখে অংশ নিয়েছেন জিহাদের ময়দানে। বীর মুজাহিদ ও গাযী হয়ে ফিরে এসেছেন বারবার। জিহাদের ময়দানে আল্লাহর কালিমাকে সমুন্নত রাখার লড়াইয়ে তিনি যে অকৃত্রিম স্বাদ লাভ করেছেন তা তিনি তার ইলমী যোগ্যতা দ্বারা কিয়ামাত পর্যন্ত অনাগত উম্মাহর জন্য সংরক্ষণ করে গিয়েছেন। ‘কিতাবুল জিহাদ’ জিহাদ-বিষয়ক তার অনবদ্য বর্ণনাগুলোর এক সংকলন। এতে রাসূল সা.-এর হাদীস, সালাফদের মতামত এবং বিভিন্ন ঘটনার অপূর্ব এক সম্মিলন রয়েছে। মূলত কিতাবটিতে আল্লাহর রাস্তার প্রতি উৎসাহ জোগানোর মতো যথেষ্ট উপাদান রয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.