হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ তা’আলা বান্দার কাছ থেকে সর্বপ্রথম তার ফরজ নামাজের হিসাব নিবেন।
যদি ফরজ নামাজ পরিপূর্ণ ও ঠিক থাকে তাহলে সে সফলকাম হবে এবং মুক্তি পাবে। আর যদি ফরজ নামাজে কোনো ঘাটতি দেখা যায়, তখন ফেরেশতাদের বলা হবে, দেখো তো আমার বান্দার কোনো নফল নামাজ আছে কিনা?
তার যদি নফল নামাজ থেকে থাকে তাহলে তা দিয়ে আমার বান্দার ফরজের এ ঘাটতি পূরণ করো। অতঃপর অন্যান্য ‘আমলগুলোও (রোজা ও যাকাত) এভাবে গ্রহণ করা হবে। (তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ)
তো, আপনি নফল পড়বেন, যখন সময় পাবেন – হোক সেটা মসজিদে গিয়ে বসার আগেই দু’রাকাত দুখুলুল মসজিদ, বা অযু করেই দুরাকাত, তাহাজ্জুদ নামাজ, সফর শেষে বাড়িতে প্রবেশের আগে দু’রাকাত নামাজ, শুকরিয়ার নামাজ ইত্যাদি। কিন্তু কথা হলো আপনার নামাজই যদি কবুল না হয় তবে কি আল্লাহ সেগুলো দিয়ে পূর্ণ করবেন ফরজের ঘাটতিগুলো?! না। যে নামাজগুলো কবুল হয় নি সেগুলো তো সাওয়াবের আমলেই উঠবে না, সেগুলো দিয়ে কীভাবে ফরজের ঘাটতি পূরণ করবেন আল্লাহ তায়ালা? যেসব কারণে নামাজ কবুল হয় না, নামাজ বাতিল হয়ে যায়, খুশু থাকে না সেগুলো ঠিক করতে হবে। এসব নিয়েই তো মিশারী আল-খারাজের বিশদ আলোচনার অত্র বইটি।
যেদিন আপনার শত শত টাকা, বিশাল সম্পদ, দিনার-দিরহাম, ডলার কিছুই কাজে লাগবে না, কাজে লাগবে কেবল আল্লাহর জন্য নিবেদিতে উত্তম সময় ও ইবাদাত, সেগুলোরই সর্বোত্তম একটি ইবাদাত নামাজ। সেই নামাজ ঠিকমতো কবুল হচ্ছে তো? না হলে তো অন্যান্য আমলও নষ্ট হওয়া শুরু করেছে বলে হাদীসে এসেছে। কারণ আল্লাহর সাথে সরাসরি যোগাযোগের যেই ইবাদাত বিশুদ্ধভাবে, খুশু ও আন্তরিকতার সাথে হচ্ছে না তাহলে সেই আল্লাহর অন্যান্য কাজগুলো কীভাবে করবেন?!! ৩৬১ পেইজের বই, কিন্তু আপনার আখিরাতকে করতে পারে অনেক উজ্জ্বল, আনন্দপূর্ণ।
ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রা) বলেছেনঃ
“দুনিয়ার রাজা-বাদশারা যদি জানতো নামাজে আমরা কতোটা প্রশান্তি পাই তবে তারা রাজত্ব বৃদ্ধির চাইতে সর্বক্ষণ নামাজ নিয়েই পড়ে থাকতো।”
Reviews
There are no reviews yet.