পর্নোগ্রাফি…. ইতস্তত বোধ করবেন না, এদিক ওদিক তাকিয়ে স্ক্রল ডাউন করে চলে যাবেন না। নিজেরই ক্ষতি করবেন। তো যা বলছিলাম, বইটা লিখা পর্নোগ্রাফি নিয়ে, পর্নাসক্তি নিয়ে। সাইবার ক্রাইম, ধর্ষণ, হত্যা, সমকামিতা, অজাচার, মানব পাচার, পরিবার ভাঙন,মাদকাসক্তি – এমন হাজারো বীভৎস গল্পের মূল হোতা এই মরনব্যাধি কীভাবে আমাদের উসখুস করা নিষ্পাপ চেহারাগুলোকে চুপেচুপে স্রেফ গিলে ফেলছে তা নিয়ে লিখা, ব্যক্তি-পরিবার-সমাজ কীভাবে এই নীল দুনিয়ার ক্ষুধার্ত লালসার লুপে পড়ে অক্সিজেনের অভাবে হাঁসফাঁস করে ডুবে মরছে তা নিয়ে লিখা। এ মৃত্যু মানসিক মৃত্যু, শারীরিক মৃত্যু। কষ্টহীন মৃত্যু হলেও হত, নাহ এ তীব্র যন্ত্রণা দিয়ে যায়। এতটুকু লেখা বইটার ১২৫ পৃষ্ঠা ব্যাপী ‘অনিবার্য যত ক্ষয়’ অধ্যায়টা উঁকি মেরে দেখানো অনেকটা। ‘‘সামান্য বিনোদন’’, ‘‘এটা একটা আর্ট’’, ‘‘আমি তো কারো ক্ষতি করছি না, বরং নিজেকে সংযত রাখছি অন্য কারোর সাথে এমন না করে’’- ভদ্র মুখোশের আড়ালে এইসব অজুহাত যে সমাজে কত পশু তৈরি করেছে, করে চলছে এর সামান্য ধারনা পাবেন এই অধ্যায়ে।আমি পাঠক সমাজকে সাবধান করে দিচ্ছি, অনেক লিখাই হজম করতে কষ্ট হবে, দুনিয়ার কদর্য রূপ সম্পর্কে খুব কমই সচেতন, খুব কমই সতর্ক আমরা এটা নতুন করে উপলব্ধি করবেন এই বইয়ে। বইটা পড়া শুরু করে মাঝপথে এসে দম বন্ধ হয়ে আসছে বলে মনে হলেও প্লিজ চলে যাবেন না। আপনি মুখ লুকালেও সত্য কখনো বদলাবে না, সব সমস্যা আপনাআপনি ঠিক হয়ে যাবে না। তাহলে কী করবেন? বইটার পরের ১০৬ পেজ ধরে লিখা ‘বৃত্তের বাইরে’ অধ্যায়টি ভালোভাবে পড়ুন, মনোযোগ দিয়ে। লেখক খুব যত্ন নিয়ে ভেঙে ভেঙে আলোচনা করেছেন কীভাবে এই অন্ধকার, স্যাঁতসেঁতে, নোংরা, গ্লানিময় জীবন থেকে বের হয়ে আসা যায়। এটা সবার জানা খুব দরকার। আপনি নিজে বা আপনার পরিবারের সন্তান/ ভাই/ বোন হয়তো এই মরণব্যাধিতে আসক্ত কিংবা আপনার স্বামী বা স্ত্রী! কীভাবে সামলাবেন পরিস্থিতি? কীভাবে নিজে বের হয়ে আসবেন? এসবের উত্তর দেয়া আছে এখানে। প্রয়োজন শুধু মনের জেদ আর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাওয়া। বইয়ের একদম শেষের লেখাটা (‘মুক্ত বাতাসের খোঁজে’) অনেক অনুপ্রেরণা দিবে।
মুক্ত বাতাসের খোঁজে
পৃষ্ঠা: 228
কভার: পেপারব্যাক
৳ 230
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
Reviews
There are no reviews yet.