‘সালাহুদ্দিনের দিনগুলো’ ইতিহাসগ্রন্থ নয়; কল্পিত উপন্যাস কিংবা তথ্য ও তত্ত্বের ভারে ন্যুব্জ কোনো গবেষণাগ্রন্থও নয়। এটি মূলত এক ইতিহাসবিজেতার যাপিত সোনালি সময়ের আলো ঝলমলে বয়ান; যার তলোয়ারের ‘অন্যরকম পরশে’ মূর্ত হয়ে উঠেছিল সুদীর্ঘ কালজুড়ে মুসলিম উম্মাহর বুকে পুষে রাখা স্বপ্ন ও সাধনা। যার প্রজ্ঞা, মননশীলতা, তাকওয়া, অন্তর্দৃষ্টি, ইতিহাসবোধ, সামরিক কৌশল, কূটনৈতিক বিদ্যা ও দ্বীনের জন্য কুরবানি ছিল সর্বজন বিদিত।
আমাদের কাছে তিনি নিছক একজন ‘সুলতান’ বা ‘সেনাপতি’ নন, বরং এইসব পরিচয়ের উর্ধ্বে উঠে যুগান্তকারী ইসলামি সেনানির চিন্তানায়কের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। পাঠচক্রে, চেতনার চর্চাকেন্দ্রে বা বীরত্বের মাহফিলে আমরা কেবল ‘সেনাপতি’, ‘সুলতান’ সালাহুদ্দিন বা ইমাদুদ্দিনের গল্প করি; কিন্তু আমরা ভুলে যাই—সুলতান সালাহুদ্দিন সংগ্রামের একটি তাঁবু হলে তার অন্য সাধারণ সেনারা হলেন সেই তাঁবুর চেতনাধারী বিশ্বস্ত খুঁটি। তাই, নাম ‘সালাহুদ্দিনের দিনগুলো’ হলেও, আমাদের এ বইটির সবগুলো গল্পের মূল উপজীব্য ‘সালাহুদ্দিন’ নন; বরং বইটিতে লেখক সংক্ষিপ্ত বয়ানে মহান সালাহুদ্দিনের সময়কালকে আঁকতে চেয়েছেন; এই মহানায়কের চেতনা ও আদর্শের আলোকণাগুলো ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। তাই আজ হোক বা সহস্র বছর পর; নব্য ক্রুসেডের সর্বরকম আগ্রাসনের স্থায়ী বিলোপসাধনে আমাদেরকে হতে হবে তার চেতনা ও আদর্শের মনযোগী তালিবে ইলম।
এই বই আপনাকে আগামীর বিশ্বযুদ্ধে একদল শুদ্ধ চেতনার কর্মোদ্যমী সাহসী সেনা তৈরির স্বপ্নও দেখাবে; যারা বাইতুল মাকদিসে ইসলামের বিজয় নিশান উড়াবে, আর, নিজেদের ন্যায়, ইনসাফ, চেতনা, আদর্শ, সাহস ও বীরত্বের কালিতে কালের বুকে আবার লিখে দেবে ইসলামের অতীত ইতিহাস।
Reviews
There are no reviews yet.