সত্যান্বেষণ


পাবলিকেশন: সংকল্প প্রকাশন
পৃষ্ঠা: 120
কভার: হার্ডকভার

Original price was: ৳ 180.Current price is: ৳ 126.

কুরআনে সূরা (Chapter) তূর ও তাকভীর উভয়ের ৬ নাম্বার আয়তে রয়েছেঃ “শপথ অগ্নিময় সমুদ্রের।” (তূর ৫২: ৬) “যখন সমুদ্র দাউদাউ করে জ্বলে উঠবে।” (তাকভীর ৮১: ৬) আমরা জানি, আগুন ও পানি বিরূদ্ধ দুটি বস্তু। পানি আগুন নিভিয়ে দেয় আর আগুন পানিকে বাষ্পীভূত করে। কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে জানতে পেরেছে পৃথিবীর সিংহভাগ আগ্নেয়গিরি সমুদ্রের নীচে অদৃশ্যভাবে দাউদাউ করে জ্বলে। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, শতকরা ৮০ ভাগ অগ্ন্যুৎপাতই সমুদ্রে হয়ে থাকে। এগুলোর বেশীরভাগ হাজার হাজার ফুট গভীর এবং খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর। সম্প্রতি সমুদ্রবিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে যে, সামুদ্রিক আগ্নেয়গিরি শুধু লাভা জমা রাখে না, বরং ভলক্যানিক অ্যাশও নির্গত করে। এগুলো “মধ্যস্থিত সামুদ্রিক পর্বত” বলা হয়। প্রশান্ত ও আর্কটিক মহাসাগরের Guyots এর কথা আমরা বলতে পারি। Oceanic mountain chain গবেষণা করে জানা গেছে যে, ভূত্বকে রয়েছে গভীর ফাটল, যা পুরো এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে, এর মধ্য দিয়ে ম্যাগমার প্রচণ্ড অগ্নৎপাত উৎপত্তি হয়। আর এগুলো সমুদ্র তলে উঠে আসে। প্রমাণিত হয়েছে যে, ৬৪,০০০ কি.মি. এর বেশী এর প্রসারণ ঘটে এবং এর গভীরতা প্রায় ৬৫ কি. মি. হয়ে শিলাময় ভূত্বকে প্রবেশ করে Asthenosphere স্তরে পৌঁছায়। Asthenosphere স্তরে শিলা গুলো অনেকটা গলিত অবস্থায় থাকে তুলনামূলকভাবে উচ্চ ঘনত্ব ও সান্দ্রতা (Viscosity) সহকারে। উত্তপ্ত আন্দোলন টনের পর টন শিলা সমুদ্রতলে ও নীচে নিয়ে আসে। এগুলো সমুদ্র পানিকে ডানে-বামে ঠেলে দেয় (বিজ্ঞানীর এটাকে ‘সমুদ্রতলের সম্প্রসারন ও পুনর্গঠন ‘ নামকরণ করেছেন)। এ প্রক্রিয়ায় সম্প্রসারিত অঞ্চলে ম্যাগমা এসে পূর্ণ হয়, যার ফলে সমুদ্র তলে ও নীচে অগ্নুৎপাত হয়। সমুদ্রের পানি কি ম্যাগমা নিভিয়ে দিতে পারে না? বিজ্ঞানীরা এই উত্তর দিতে ব্যর্থ। অধিকন্তু অতি উচ্চ তাপমাত্রার এই ম্যাগমা কি সমুদ্রের পানি বাষ্পীভূত করে দিতে পারে না? বিজ্ঞান এগুলো গবেষণার মাধ্যমে আধুনিককালে জানতে পেরেছে। ১৬৫০ সালে Aegean Sea এ kolumbo submarine volcano আবিষ্কার হয়, যখন অগ্নুৎপাতে ৭০ জন মারা যায় স্যান্টোরিনি আইল্যান্ডের নিকটে। Hydrothermal ফাটল গুলো ১৯৭৭ সালে মধ্যস্থিত সামুদ্রিক শৈলশিরায় আবিষ্কার হয়। এরূপ একটি হাদীস আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন যে, কেউ হজ্ব,, উমরাহ অথবা আল্লাহর পথে জিহাদের উদ্দেশ্য ছাড়া যেন সমুদ্রযাত্রা না করে। কারন সমুদ্রের নীচে আছে আগুন এবং এর নীচে সমুদ্র। (আবু দাউদ, জিহাদ অধ্যায়) ………………………… ………………………….. অসমাপ্ত, #সত্যান্বেষণ(অধ্যায়ঃ সত্য কী?) [এখানে প্রশ্ন হতে পারে যে, তাহলে সমুদ্র পথে দেশ থেকে দেশ ভ্রমণ করা যাবে না? এখানে মূল বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। সাহিত্যিক টার্মগুলো বুঝেন আশা করি। যেমনঃ টীচার বলল যে, এ্যাই…….তোমরা পড়া ছাড়া কোন কথা বলো না। কিন্তু স্টুডেন্ট তো প্রয়োজনে বের হওয়ার জন্যও অনুমতি চায়। বিষয়টি সেরকম। শিক্ষক কথা বলার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা শুধু পড়াশুনার বিষয় উল্লেখ করেছেন। তারমানে এই নয় যে, ছাত্র জরুরীভাবে বাহিরে যেতে অনুমতি চাইতে কথা বলতে পারবে না। প্রশ্নটি ফিক্বহী বা বিধানগত বিষয়। সেটা নিয়ে ইসলামে আরেকটা সেকশন রয়েছে।

Reviews

There are no reviews yet.

Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.